ওষুধের মেয়াদ কিভাবে দেখতে হয়?
ওষুধের মেয়াদ (Medicine Expiration Date) যাচাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সময়মতো মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ চিহ্নিত করতে না পারলে তা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।এই ব্লগে আমরা জানবো –
- ওষুধের মেয়াদ কোথায় লেখা থাকে
- মেয়াদ কীভাবে দেখতে হয়
- মেয়াদ পার হলে ওষুধ ব্যবহার করা যাবে কি না
- মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাব
- গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
ওষুধের মেয়াদ কোথায় লেখা থাকে?
প্রত্যেকটি ওষুধের প্যাকেট বা বোতলের গায়ে মেয়াদ লেখা থাকে। সাধারণত নিচের জায়গাগুলোতে মেয়াদের তথ্য উল্লেখ করা হয় –
✅ ওষুধের স্ট্রিপ (পাতা) বা ফয়েল প্যাকেটে
✅ বোতলের গায়ে লেবেলে
✅ কার্টুনের গায়ে
![]() |
ট্যাবলেটের ব্লিস্টার |
ওষুধের মেয়াদ কীভাবে দেখতে হয়?
এই ছবিতে যেটা দেখতে পাচ্ছি এটা একটা ট্যাবলেটের স্ট্রীপ, এখানে নিচে লাল বৃত্তের ভেতরে যে লেখাটা আছে এখানেই মূলত ওষুধের মেয়াদোত্তীর্ণের ডেট লেখা আছে এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে E0926 যার অর্থ এই ওষুধের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এখানে যেহেতু কোনো নির্দিষ্ট দিনের উল্লেখ নাই তাই এটা সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে
![]() |
ওষুধের বোতল |
এটা একটা বোতল এখানেও Exp: 0926 লেখা যার অর্থ যার অর্থ এই ওষুধের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এখানে যেহেতু কোনো নির্দিষ্ট দিনের উল্লেখ নাই তাই এটা সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।
![]() |
জেলের প্যাকেট |
এটা একটা জেলের প্যাকেট যেখানে Exp. Date: Oct 27
![]() |
ক্রীমের প্যাকেট |
এটা একটা ক্রিমের প্যাকেট যেখানে
EXP: 08/2023, যার অর্থ ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে মেয়াদ শেষ হবে
✅ মনে রাখবেন:
মাসের শেষে মেয়াদ শেষ হবে, যদি নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ না থাকে।
কিছু ওষুধে Best Before বা Use Before লেখা থাকতে পারে, এটিও ওষুধের মেয়াদের বোঝায়।
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে ক্লিক করুণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সম্পর্কে আপনার যা অবশ্যই জানা উচিত
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার করা যাবে কি না?
না! মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কখনোই ব্যবহার করা যাবে না।
এটি শরীরে বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে এবং ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।
বিশেষ করে নিচের ওষুধগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হলে খুব বিপজ্জনক –
❌ এন্টিবায়োটিক
❌ ইনসুলিন
❌ আই ড্রপ
❌ সিরাপ
❌ ক্যান্সারের ওষুধ
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাব
👉 ওষুধের কার্যকারিতা কমে যায়
👉 বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে
👉 অ্যালার্জি বা চর্মরোগ হতে পারে
👉 কিডনি বা লিভারের ক্ষতি করতে পারে
ওষুধের মেয়াদ যাচাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
✅ ওষুধ কেনার সময় মেয়াদ দেখে কিনুন
✅ মেয়াদ পার হওয়ার পর ওষুধ ফেলে দিন
✅ সিরাপের বোতল খোলার পর মেয়াদ আর কম সময় থাকে, তাই সাবধান
✅ শিশির আর্দ্রতা থেকে ওষুধ দূরে রাখুন
✅ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বাড়িতে জমা করে না রেখে পুড়িয়ে ফেলুন বা ফেলে দিন
No comments:
Post a Comment
We value your insights! Feel free to share your thoughts, ask questions, or provide feedback. Please keep comments relevant and respectful. Spam or promotional content will be removed.