Popular Posts

এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স কী, কেন হয়, কিভাবে হয়?

Antibiotic Resistance in Bangla, এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স কেন হয়? এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স কিভাবে হয়? এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স হলে কি হয়
Antibiotic Registance In Bangla || এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স


ব্যাকটেরিয়া বা ক্ষতিকারক কোন জীবাণু (Pathogen) কোনো নির্দিষ্ট এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে এবং সেই এন্টিবায়োটিক ওষুধ আর কার্যকর থাকে না তখন তাকে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স বলে। এর ফলে সংক্রমণ নিরাময় করা কঠিন হয়ে পড়ে এবং এটি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করে।


এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স কেন হয়?

এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স সাধারণত নিম্নলিখিত কারণগুলোর জন্য হয়ে থাকে:

  1. এন্টিবায়োটিকের অযথা ব্যবহার (Misuse of Antibiotics):

    • সাধারণ সর্দি-কাশি বা ভাইরাসজনিত রোগের জন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা।
    • চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করা।
  2. অসম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণ (Incomplete Dose):

    • ওষুধের কোর্স শেষ না করে মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া।
    • প্রয়োজনের চেয়ে কম সময় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা।
  3. অতিরিক্ত ব্যবহার (Overuse):

    • প্রাণী খাদ্যে (Animal Feed) এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা।
    • কৃষি ও মৎস্য খাতে অপ্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা।
  4. স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব:

    • জনগণের মধ্যে এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে না জানা।
    • নিজ থেকে ওষুধ কিনে ব্যবহার করা।
  5. অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও হাইজিনের অভাব:

    • অপরিষ্কার খাবার ও পানীয় গ্রহণ।
    • স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে জীবাণুর অপ্রতুল নিয়ন্ত্রণ।

এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স কিভাবে হয়?

এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স হওয়ার প্রক্রিয়া নিচের ধাপে ব্যাখ্যা করা যায়:

  1. প্রাকৃতিক নির্বাচন (Natural Selection):

    • কোনো ব্যাকটেরিয়া যখন এন্টিবায়োটিকের সংস্পর্শে আসে, তখন অধিকাংশ ব্যাকটেরিয়া মারা যায়।
    • কিছু ব্যাকটেরিয়ার জিনগত পরিবর্তনের (Mutation) কারণে তারা সেই এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে।
  2. জেনেটিক মিউটেশন (Genetic Mutation):

    • ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ-তে স্বাভাবিক বা আকস্মিক পরিবর্তন ঘটলে তারা এন্টিবায়োটিকের প্রতি রেজিস্টেন্স অর্জন করে।
  3. জিন ট্রান্সফার ( Gene Transfer):

    • এক ব্যাকটেরিয়া থেকে অন্য ব্যাকটেরিয়ায় রেজিস্টেন্স জিন স্থানান্তরিত হয়। এটি তিনভাবে হতে পারে:
      • কনজুগেশন (Conjugation): ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে।
      • ট্রান্সফরমেশন (Transformation): মৃত ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ গ্রহণ করার মাধ্যমে।
      • ট্রান্সডাকশন (Transduction): ভাইরাসের মাধ্যমে এক ব্যাকটেরিয়া থেকে অন্য ব্যাকটেরিয়ায় ডিএনএ স্থানান্তরিত হয়।

এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্সে হলে কি হবে 

  • সাধারণ সংক্রমণও মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
  • দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে।
  • চিকিৎসার খরচ বেড়ে যায় 
  • হাসপাতালে সংক্রমণের হার বেড়ে যায়।

এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স প্রতিরোধের উপায়:

  • এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
  • সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করা।
  • অপ্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার বন্ধ করা।
  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা।
  • স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
  • প্রাণী ও কৃষিতে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমানো।
  • যথাযথ ল্যাবরেটরি পরীক্ষা করে এন্টিবায়োটিক নির্ধারণ করা।

No comments:

Post a Comment

We value your insights! Feel free to share your thoughts, ask questions, or provide feedback. Please keep comments relevant and respectful. Spam or promotional content will be removed.